মেহেদি ডিজাইন ছবি ও টিপস | সিম্পল সহজ ডিজাইন
মেহেদি দেওয়ার টিপস
- বাজারে বিভিন্ন ধরণের মেহেদি পাওয়া যায়। ভালো মানের মেহেদি কিনুন যাতে রাসায়নিক কম থাকে।
- মেহেদি দেওয়ার জন্য কোণ ব্যবহার করা সহজ। বাজারে বিভিন্ন আকারের কোণ পাওয়া যায়। আপনার পছন্দমত কোণ কিনুন।
- টিস্যু, সাবান, পানি, তেল, কাঠি, ল্যাম্প, ইত্যাদি।
মেহেদি দেওয়ার পদ্ধতি
- হাত পরিষ্কার করুন: মেহেদি দেওয়ার আগে হাত ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
- ডিজাইন: আপনার পছন্দের ডিজাইন বেছে নিন। ইন্টারনেটে অনেক সুন্দর ডিজাইন পাওয়া যায়।
- কোণ প্রস্তুত করুন: কোণের ছিদ্র ছোট করে কেটে নিন।
- মেহেদি লাগান: কোণের ভেতর মেহেদি ভরে হাতে ডিজাইন অনুযায়ী লাগান।
- শুকিয়ে যাওয়া: মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। মেহেদি যত বেশি সময় শুকিয়ে থাকবে, রঙ তত গাঢ় হবে।
- ধুয়ে ফেলা: মেহেদি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- মেহেদি দেওয়ার আগে হাতে লোশন বা তেল ব্যবহার করবেন না।
- মেহেদি দেওয়ার সময় হাত স্থির রাখুন।
- মেহেদি লাগানোর পর হাতে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে লাগালে রঙ গাঢ় হয়।
- মেহেদি লাগানোর পর হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিয়ে রাখলে মেহেদি ভালোভাবে শুকিয়ে যায়।
- মেহেদি ধুয়ে ফেলার পর হাতে তেল লাগান।
যাদের ত্বকে অ্যালার্জি আছে তারা মেহেদি ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গর্ভবতী মহিলাদের পেটে মেহেদি ব্যবহার করা উচিত নয়।
মেহেদিতে কেমিক্যাল থাকলে তা ব্যবহার করবেন না।
মেহেদি ডিজাইন ছবি
ইন্টারনেটে অনেক সুন্দর মেহেদি ডিজাইন পাওয়া যায়।
আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বানাতে পারেন।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেহেদি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়:
- মেহেদি লাগানোর পর হাতে লোশন বা তেল ব্যবহার করবেন না।
- মেহেদি লাগানোর পর হাত গরম পানিতে ধুবেন না।
- মেহেদি লাগানোর পর হাতে সাবান ব্যবহার করবেন না।
হাতে মেহেদির রঙ গাঢ় করার কিছু উপায়
লেবুর রস বা চিনি:মেহেদি তৈরির সময় লেবুর রস বা চিনি মিশিয়ে দিলে রঙ গাঢ় হয়।লবঙ্গ তেল: মেহেদিতে লবঙ্গ তেল মিশিয়ে দিলে রঙ গাঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কফি: মেহেদিতে কফি গুঁড়ো মিশিয়ে দিলে রঙ গাঢ় হয়।
মেহেদি লাগানোর পরের ধাপ
চিনি ও লেবুর রসের মিশ্রণ: মেহেদি লাগানোর পর শুকিয়ে যাওয়ার আগে চিনি ও লেবুর রসের মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলে রঙ গাঢ় হয়।
প্লাস্টিকের ব্যাগ: মেহেদি লাগানোর পর হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিয়ে রাখলে মেহেদি ভালোভাবে শুকিয়ে যায় এবং রঙ গাঢ় হয়। ( এই টিপস আমরা শিউর না। তাই সতর্ক ভাবে জেনে এরপর এটা ট্রাই করিয়েন) ( অনেক সময় দেখা যায় মেহেদি দেওয়ার পর হাত ফুলে যায়, বিশেষ করে ভারতের মেহেদি গুলোতে এমন সমস্যা হয়।
উষ্ণতা: মেহেদি লাগানোর পর হাতে উষ্ণতা প্রয়োগ করলে রঙ গাঢ় হয়। হাতে হালকা গরম পানির সেঁক দিতে পারেন অথবা হাত গরম কাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে পারেন।
হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না: মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। এতে মেহেদির রঙ হালকা হতে পারে।
মেহেদি দীর্ঘ সময় ধরে রাখুন: মেহেদি যত বেশি সময় ধরে রাখবেন, রঙ তত গাঢ় হবে।
নিয়মিত মেহেদি ব্যবহার করুন: নিয়মিত মেহেদি ব্যবহার করলে ত্বক মেহেদির রঙ ধরে রাখার অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রঙ গাঢ় হয়।
সতর্কতা গুলো জেনে নিন
- মেহেদিতে কেমিক্যাল থাকলে তা ব্যবহার করবেন না। কেমিক্যালযুক্ত মেহেদি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
- যাদের ত্বকে অ্যালার্জি আছে তারা মেহেদি ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- উল্লেখ্য যে, মেহেদির রঙ ত্বকের ধরণের উপর নির্ভর করে। কিছু লোকের ত্বকে মেহেদির রঙ গাঢ় হয়, আবার কিছু লোকের ত্বকে রঙ হালকা হয়।
হাতের জন্য কোন মেহেদি ভালো? গাছের পাতা নাকি প্যাকেট মেহেদি?
গাছের পাতার মেহেদির সুবিধা- প্রাকৃতিক এবং রাসায়নিক মুক্ত।
- ত্বকের জন্য ভালো।
- রঙ গাঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- সুগন্ধি।
অসুবিধা:
- তৈরি করতে সময় ও ধৈর্য লাগে।
- বাজারে সহজলভ্য নয়।
- দাম বেশি হতে পারে।
প্যাকেট মেহেদির সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা:
- ব্যবহার করা সহজ।
- বাজারে সহজলভ্য।
- দাম কম।
- বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়।
অসুবিধা:
- রাসায়নিক থাকতে পারে।
- ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- রঙ গাঢ় নাও হতে পারে।
- সুগন্ধি নাও হতে পারে।
সহজে মেহেদি ডিজাইন করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
সহজ ডিজাইন: শুরুতে সহজ ডিজাইন দিয়ে শুরু করুন। ইন্টারনেটে অনেক সহজ মেহেদি ডিজাইন পাওয়া যায়।
সহজ ডিজাইন: শুরুতে সহজ ডিজাইন দিয়ে শুরু করুন। ইন্টারনেটে অনেক সহজ মেহেদি ডিজাইন পাওয়া যায়।
অনুশীলন: কাগজে অনুশীলন করুন। এতে আপনার হাত স্থির হবে এবং ডিজাইন করতে সুবিধা হবে।
ছোট ডিজাইন: ছোট ডিজাইন দিয়ে শুরু করুন। বড় ডিজাইন করা কঠিন হতে পারে।
মেহেদি দেওয়ার কৌশল
- হাত স্থির রাখুন: ডিজাইন করার সময় হাত স্থির রাখুন। এতে ডিজাইন পরিষ্কার হবে।
- হালকা চাপ:হালকা চাপ দিয়ে ডিজাইন করুন। বেশি চাপ দিলে ডিজাইন নোংরা হতে পারে।
- ধৈর্য ধরুন:** ডিজাইন করার সময় ধৈর্য ধরুন। তাড়াহুড়ো করলে ডিজাইন নষ্ট হতে পারে।